মোঃ নাসিম,নাচোল প্রতিনিধিঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মকবুল হোসেন কে সহকারি জজ আদালত নাচোল(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) তলব করেছে বলেছে জানা গেছে। আদালতে ঐ দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মকবুল হোসেন কে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আদালতে কলেজের গভনিং বডির সদস্যের নির্বাচন সংক্রান্ত কাগজ পত্রাদি দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ ও মামলার সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর চাঁঁপাইনবাবগঞ্জে নাচোল রাজবাড়ী কলেজের গভর্নিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । সেই নির্বাচনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খাঁন প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন । নির্বাচনে ৪ জন অভিভাবক সদস্য এবং ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন খান নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের নিকট দাখিল করেন। কিন্তু কমিটিতে দাতা সদস্য বাদ পড়ায় নির্বাচনের ফলাফল বেআইনি দাবি করে এবং নির্বাচিত কমিটি যাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী কর্তৃক অনুমোদিত না হয়, সেই লক্ষ্যে নাচোল বাজারপাড়া এলাকার শওকত আলীর ছেলে মশিউর রহমান বাদি হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর নাচোল সহকারী জজ আদালত (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ৭ অক্টোবর কমিটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
পরে মামলা ও নিষেধাজ্ঞার কারনে নির্বাচিত কমিটি অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী বরাবর কোনো আবেদন করেন নী রাজবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। কে বা কারা তাঁর স্বাক্ষর ও কাগজপত্রাদি জাল করে গত ৩ অক্টোবর শিক্ষা বোর্ডে দাখিল করে এবং কমিটি অনুমোদনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। পরে গত ১৩/১০/১৯ ইং রাজবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সহকারি জজ আদালত,নাচোল(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এ বাদি হয়ে ঐ কলেজের নির্বাচিত সভাপতি মেসবাউল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মকবুল হোসেন,কলেজ পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির একটি মামলা দ্বায়ের করেন। যাহার মামলা নং: ১১২/১৯। পরে আদালত গত ১৫/১০/১৯ ইং তারিখের রীট মূলে কাগজাদি পরিদর্শন অন্তে তলবের রিপোর্টি দাখিল পক্ষে এ্যাড:কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেন এ্যাড:সাদিকুর রহমান সরকার কে। পরে গত ২০/১০/১৯ ইং এ্যাড:কমিশনার সাদিকুর রহমান সরকার সরজমিনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করে রীট দরখাস্ত দেখিয়ে রীটের বর্নিত কাগজ পত্রাদি চাই। বোর্ড চেয়ারম্যান এ্যাড:কমিশনার সাদিকুর রহমান সরকারের কাছে রীটের কাগজ পত্রাদি নিয়ে এ্যাড:কমিশনার সাদিকুর রহমান সরকার কে লাঞ্ছিত করে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন। পরে এ্যাড:কমিশনার সাদিকুর রহমান আদালতে বোর্ড চেয়ারম্যান কর্তৃক লাঞ্ছিত,কাগজপত্রাদি না দিয়ে আদালত অবমাননার রিপোর্টি আদালতে দাখিল করেন। পরে আদালত গত ০৩ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মকবুল হোসেন,কলেজ পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বডি ওয়ারেন্ট করেন। উভয় কে ১৩ নভেম্বর বুধবার সকালে আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে রাজবাড়ী কলেজের গভনিং বডির অনুমোদন সংক্রান্ত গত ০৩/১০/১৯ ইং তারিখের অধ্যক্ষের আবেদন পত্র সহ গভনিং বডির সদস্যদের নামের তালিকা প্রেরন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ কোর্টের এ্যাড:সোলাইমান বিশুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মাধ্যমিক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মকবুল হোসেন,কলেজ পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বডি ওয়ারেন্ট করেছে আদালত। উভয় কে ১৩ নভেম্বর আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে রাজবাড়ী কলেজের গভনিং বডির অনুমোদন সংক্রান্ত গত ০৩/১০/১৯ ইং তারিখের অধ্যক্ষের আবেদন পত্র সহ গভনিং বডির সদস্যদের নামের তালিকা প্রেরন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, ৬ অক্টোবর শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদিত গভর্নিং কমিটির কপি হাতে পেয়ে জানতে পারি কমিটিতে সভাপতি হিসাবে সদর ইউনিয়েনের সদস্য মেসবাউল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। গভর্নিং কমিটির সভাপতি মেসবাউল হক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর মোকবুল হোসেনের আপন ফুফাতো ভাই। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর মোকবুল হোসেনের বাড়ি নাচোলের ফুরশেদপুর গ্রামে। তাই বিষয়টি জালিয়াতি ও যোগসাজসরূপে করায় আমি জালিয়াতির মামলা করি।
Leave a Reply